Model Activity Task: Class 9 History all answer
●ইয়ং ইতালি :
ইতালির ঐক্য আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। তিনি ইতালির ঐক্য আন্দোলনকে সর্বএ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেন। ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর নেতৃত্বে ' ইয়ং ইতালি ' নামে একটি সংগঠন তৈরি হয়। এই সংগঠনের মাধ্যমে ম্যাৎসিনি কার্বোনারিসহ অন্যান্য গুপ্ত বিপ্লবী সমিতির কাজকর্ম চালাতেন।ইয়ং ইতালি দলের আর্দশ ছিল ঐক্যবদ্ধ ইতালি গঠন। এছাড়া এই দল শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
●জোলভেরাইন :
১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাশিয়া ' জোলভেরাইন' নামে একটি শুল্ক ব্যবস্থা লোপ করে প্রতিবেশী রাজ্য গুলির সঙ্গে শুল্কচুক্তি সম্পাদন করে। উওর জার্মানির বেশিরভাগ রাজ্য এই শুল্ক সংঘে ঘোগ দেয়। ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্রায় সবকটি জার্মান রাজ্য এই সংঘে ঘোগ দেয়। তবে অস্ট্রিয়া এই শুল্ক সংঘে ঘোগ দেয়নি।●রিসর্জিমেন্টো :
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয় - তৃতীয় দশক থেকে ইতালির অনৈক্য প্রকট হয়ে ওঠে। ইতালিতে অস্ট্রিয়ার প্রাধান্য এবং ইতালির রাজ্যগুলির প্রদেশিকতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ ছিল ইতালির ঐক্যের পথে প্রধান বাধা। তথাপি জাতীয়তাবাদীরা ইতালির ঐক্য সফল করার ক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যান, জাতীয়তাবাদী চেতনার এই বিস্তারকে বলা হয় 'রিসর্জিমেন্টো' বা পুনরুস্থান। এক্ষেত্রে ইতালির মুক্তির জন্য জনমত ও জাতীয় চেতনার জাগরনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেত্তয়া হয়।●ঘেটো :
ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের সময় 'ঘেটো' ছিল বস্তি এলাকা। ভেনিস শহরের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ইহুদিদের আলাদাভাবে রাখা হত এবং সেই অঞ্চলকে বলা হত ঘেটো। ঘেটো শব্দটি সেখান থেকেই এসেছে। কিন্তু ইউরোপে ফ্যাক্টরি প্রথা চালু হওয়ার ফলে কারখানায় নারী ও শিশু শ্রমিক কাজ করত। কারখানা গুলিতে শ্রমিকদের মজুরি ছিল খুবই কম। এইসব এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করত। কিন্তু পরে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে এখানকার জনঘনত্ব বাড়ে এবং এইসব বস্তির পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে।●ফ্যাক্টরি প্রথা :
শিল্প বিপ্লবের আসে ইউরোপের নানা দেশ। বিশেষ ইংল্যান্ড ছিল কৃষিনির্ভর ও কুটির শিল্পের দেশ। ১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে শিল্পবিপ্লের ফলে যে নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কার ও শিল্পোৎপাদন ভিত্তিক সমাজ প্রথা শুরু হয়। সাধারণ ভাষায় একে বলা হয় কারখানা প্রথা বা 'ফ্যাক্টরি প্রথা'। এই প্রথার প্রয়োগের নানা আইন কানুন ও তৈরি হয়। সমাজে শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়।● ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি কেন চীন ও আফ্রিকাকে ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছিল?
উত্তর:- ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ পযর্ন্ত চিন ও আফ্রিকার ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হয়। যার ফলে চিন ও আফ্রিকার ব্যবচ্ছেদ ঘটে।
i) চিনের ভাগ বাঁটোয়ারা :
রাশিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স প্রভৃতি সাম্রাজ্যবাদী দেশগুশি চিনকে তরমুজের খন্ডের মতো করে ভেঙ্গে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা করেনিয়েছিল।ii) আফ্রিকার ভাগ-বাঁটোয়ারা :
উনিশ শতকে ইউরোপীয় দেশগুলি আফ্রিকা সম্পর্কে জানার পরই ওই মহাদেশকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা নেয় ফ্রান্স।iii) ফ্রান্সের লাভ :
ফ্রান্স উত্তর আফ্রিকায় তাদের দখলদারি বজায় রাখে ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে। ফ্রান্স আফ্রিকার রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়। ফরাসি বিপ্লবের সময় থেকে মিশরের দখলদারি নিয়ে ইংরেজ ও ফরাসিদের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়।অনন্য বিষয়ের সমস্ত উত্তর শিলালিপি একাডেমির টেলিগ্রাম চ্যানেলে পেয়ে যাবে।
শুধু লিখলেই হবে না। জানতে হবে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান শিলালিপি একাডেমির YouTub Channel-এ।
0 মন্তব্যসমূহ