পঠন সেতু (Pathan Setu) - Class 7 - পরিবেশ ও ভূগোল - নমুনা প্রশ্ন উত্তর
মহাকাশে পৃথিবী ও তার আবর্তন
নমুনা প্রশ্ন
১.বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখো:
১.১ এক পৃথিবী সূর্য থেকে পশ্চিমে আবর্তন করলে যে দিকে সূর্য উঠত--
ক) পূর্ব, খ)পশ্চিম গ)উত্তর ঘ) দক্ষিণ ।
Ans. খ)পশ্চিম।
১.২ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা যে দ্রাঘিমা অবলম্বনে আঁকা হয়েছে, তার মান হলো--
ক) 0° খ) 90° গ)180° ঘ) 360°
Ans. গ)180°।
২. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১.১ সূর্যের সবচেয়ে কাছের যে নক্ষত্র, তার নাম প্রক্সিমা সেনটাউরি।
২.১.২ সূর্যের আলোয় লম্বা বস্তুর ছায়া মেপে যে ঘড়িতে সময় মাপে, তার নাম সূর্যঘড়ি।
২.২ বাক্যগুলি সত্য হলে 'ঠিক' এবং অসত্য হলে 'ভুল' লিখো:
২.২.১ নীহারিকার মধ্যে অনেক নক্ষত্রের জন্ম হয়।
Ans. ঠিক।
২.২.২ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার দুপাশে সময় পার্থক্য হয় ঘন্টা।
Ans. ভুল।
(আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার দুপাশে সময় পার্থক্য হয় ২৪ ঘন্টা।)
২.৩ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও:
২.৩.১ পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মত কেন বলা হয়?
Ans. পৃথিবীর আকৃতি ফুটবলের মত পুরোপুরি গোল নয়। বরং কমলালেবুর মতো একটু ওপরে-নিচে চাপা গোলক আকৃতি। তাই একে বলা হয় অভিগত গোলক।
২.৩.২ স্থানীয় সময় কোন ঘড়িতে মাপা যায়?
Ans. স্থানীয় সময় সেই স্থানের সুর্যঘড়িতে মাপা হয়।
২.৪ 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মেলাও:
*Ans.
৩.নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
৩.১ ছায়াপথ কাকে বলে? একটি উদাহরণ দাও।
*Ans. যেখানে অজস্র নক্ষত্র দল বেঁধে থাকে তাকে ছায়াপথ বলে। যেমন আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একটি নক্ষত্র সূর্য।
৪. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
৪.১ পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীরই মতো কেন বলা হয়?
Ans. পৃথিবীর সব মিলিয়ে নাশপাতির মতো হলেও শেষ বিচারে, পৃথিবীর সাথে তুলনা করা যায় এমন কোন নিখুঁত উদাহরণ কোথাও নেই। তাই পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীরই মতো বলা হয়। যাকে আমরা জিয়ড (Geoid) অকৃতি বোলি।
৪.২ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার দুদিকে দুটি দিন কিভাবে হয় ব্যাখ্যা করো।
২ অধ্যায়
পৃথিবীর কোনো স্থানের অবস্থান নির্নয়
নমুনা প্রশ্ন
১.বিকল্প থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:
১.১ কোনো একটি স্থানের অক্ষাংশ 12 ডিগ্রি উত্তর হলে স্থানটি যে গোলার্ধে অবস্থিত তা হল–
(ক) পূর্ব (খ) দক্ষিণ (গ) উত্তর (ঘ)পশ্চিম
Ans. (গ) উত্তর
১.২ নিরক্ষরেখা বাদে ভূ-গোলকে অঙ্কিত 1° অন্তর মোট অক্ষরেখার সংখ্যা হল–
(ক) ১৭৯টি (খ) ১৭৮টি (গ) ১৮০টি (ঘ) ১৮১টি
Ans. (গ) ১৮০টি
২.নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১.১ মূলমধ্যরেখা বাদে ১ ডিগ্রি অন্তর দ্রাঘিমারেখার সংখ্যা ৩৫৯ টি।
২.১.২ ভারত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
২.২ বাক্যটি সত্য হলে ঠিক এবং অসত্য হলে ভুল লেখো:
২.২.১ দ্রঘিমা মূলমধ্যরেখার তলের সাপেক্ষে নির্ণয় করা হয়
Ans. ঠিক।
২.২.২ নিরক্ষরেখার মান 10 ডিগ্রি উ: ।
Ans. ভুল।
(নিরক্ষরেখার মান 0 ডিগ্রি অক্ষরেখা )
২.৩ ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভের মিলাও:
Ans.
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
---|---|
২.৩.১. ০ ডিগ্রী | ৩. মূলমধ্যরেখা |
২.৩.২. ২৫ ডিগ্রী দক্ষিণ | ১. অক্ষাংশ |
২.৩.৩. ৩৬০ | ২. দ্রাঘিমারেখার সংখ্যা |
২.৪ একটি বা দুটি শব্দের উত্তর দাও :
২.৪.১ পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপকে এক কথায় কি বলা হয়?
Ans. পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপকে এক কথায় গ্লোব (Globe) বলা হয়।
২.৪.২ ভূ-গোলকে অবস্থিত কোনো স্থান বা এলাকাকে চিহ্নিত করতে এককথায় কোন শব্দটি ব্যবহৃত হয়?
Ans.
৩. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ অক্ষাংশ বলতে কী বোঝো?
Ans.
৩.২ মূল মধ্যরেখার গুরুত্ব উল্লেখ করো ৷
Ans.
৩.৩ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য লেখো ৷
৩ অধ্যায়
বায়ুচাপ
নমুনা প্রশ্ন
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ :
১.১. সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ হলো - (ক) ১০০০ মিলিবার (খ) ১০১৩. ২৫ মিলিবার (গ) ১০১.৩২৫ মিলিবার (ঘ) ২০০০মিলিবার।
Ans. (খ) ১০১৩. ২৫ মিলিবার।
১.২. বায়ুর চাপ মাপক যন্ত্র হলো -
(ক) হাইগ্রোমিটার (খ) ব্যারোমিটারে (গ) থার্মোমিটার (ঘ) অ্যানিমোমিটার।
Ans. (খ) ব্যারোমিটারে।
২. নিম্নলিখিত প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.১. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১.১. উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে বায়ুমন্ডলে বায়ুর চাপ হ্রাস পায় ৷
২. ১.২. উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বায়ুর ঘনত্ব হ্রাস পায় ৷
২.২. বাক্যটি সত্য হলে ঠিক এবং অসত্য হলে ভুল লেখো :
২.২.১. কোনো বস্তুর ওপর সমস্ত দিক থেকে বায়ুর চাপ দেয় না ৷
Ans. ভুল।
(বায়ুর চাপ সর্বমুখী। )
২.২.২. বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হলে বায়ুর চাপ কম হয়।
Ans. ঠিক।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১. বায়ুর চাপ বলতে কী বোঝায় ?
Ans.
৩.২. বায়ুর উচ্চচাপ বলতে কী বোঝায়?
Ans.
৩.৩. উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বায়ুর চাপ হ্রাস পায় কেন ?
Ans.
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৪.১. বায়ুর উষ্ণতার সঙ্গে বায়ুর চাপের সম্পর্ক কি?
Ans.
৪.২. বায়ুর চাপ কিভাবে কাজ করে তা একটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে গুছিয়ে লেখো ৷
Ans.
নমুনা প্রশ্ন
১.বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা দুইপাশের সময়ের পার্থক্য হয় -
(ক) ১২ ঘন্টা (খ) ৬ ঘন্টা (গ) ৪৮ ঘন্টা (ঘ) ২৪ ঘন্টা ৷
Ans. (ঘ) ২৪ ঘন্টা।
১.২. রকেট চেপে প্রথম মহাকাশে যান - (ক) রাকেশ শর্মা (খ) ইউরি গ্যাগারিন (গ) নীল আমস্ট্রং (ঘ) এডুইন অলড্রিন ৷
Ans. (খ) ইউরি গ্যাগারিন।
১.৩. পৃথিবীর আবর্তন গতি সবচেয়ে বেশি -
(ক) মেরুতে (খ) কর্কটক্রান্তি রেখায় (গ) নিরক্ষ রেখায় (ঘ) মকরক্রান্তি রেখায় ৷
Ans. (গ) নিরক্ষ রেখায়।
১.৪. ১ডিগ্রি অন্তর ভূ-গোলকে অঙ্কিত মোট অক্ষরেখার সংখ্যা হলো - (ক) ১৮০ টি (খ) ১৭৯ টি (গ) ১৭৮টি (ঘ) ১৮১ টি।
Ans. (ঘ) ১৮১ টি।
১.৫. বায়ুর চাপের একক হলো -
(ক) মিলিগ্রাম (খ) মিলিলিটার (গ) মিলিমিটার (ঘ) মিলিবার ৷
Ans. (ঘ) মিলিবার ৷
১.৬. বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে চাপ - (ক) কমে (খ) বাড়ে (গ) একই থাকে (ঘ) ওঠানামা করে ৷
Ans. (ক) কমে।
২. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১.১. দুটি জোয়ারের মাঝখানে জল কমে গেলে তাকে বলে ভাটা।
২.১.২ স্থানীয় সময় মাপা যায় সূর্য ঘড়ির সাহায্যে ৷
২.১.৩. কুয়াশার মতো বিস্তৃত যে পুঞ্জ থেকে অনেক নক্ষত্রের জন্ম হয়, তার নাম নীহারিকা।
২.১.৪. উচ্চতা বাড়লে উষ্ণতা ও বায়ুর চাপ ও ঘনত্ব কমে ৷
২.১.৫. বায়ুপ্রবাহ সর্বদাই নিম্ন চাপের দিকে হয় ৷
২.২. বাক্যগুলি সত্য হলে ঠিক এবং অসত্য হলে ভুল লেখো :
২.২.১. পৃথিবী পূর্ব থেকে পশ্চিমে আবর্তন করলেও সূর্য পূর্বদিকেই উঠত ৷
Ans. ভুল।
২.২.২. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ১৮০° দ্রাঘিমারেখা অবলম্বনে আঁকা হয়েছে ৷
Ans. ঠিক।
২.২.৩. শুধু চাঁদের মহাকর্ষের টানে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা হয় ৷
Ans. ভুল।
২.২.৪. মূলমধ্যরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ দুটি সমান গোলার্ধে ভাগ করেছে ৷
Ans. ভুল।
২.২.৫. বায়ু সব সময় কোনো একদিকে থেকে চাপ দেয় ৷
Ans. ভুল।
২.২.৬. আদ্রতা বেশি হলে বায়ুর চাপ কম হয় ৷
Ans. ঠিক।
২.৩. ক স্তম্ভের সাথে খ স্তম্ভ মেলাও :
Ans.
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
---|---|
২.৩.১. স্থানীয় সময় মাপন | ৩. সূর্যঘড়ি |
২.৩.২. আকাশগঙ্গা | ১. অনেক নক্ষত্রের সমষ্টি |
২.৩.৩. দিন রাতের সৃষ্টি | ৪.আহ্নিক গতি |
২.৩.৪. ছায়াবৃত্ত | ২. ভোর ও গোধূলি |
২.৪. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :
২.৪.১. ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাম কী?
Ans. ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাম হল ISRO (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা Indian Space Research Organisation)।
২.৪.২. সৌরপরিবারে কোন গ্রহ সবচেয়ে উত্তপ্ত ?
Ans. সৌরপরিবারে শুক্র গ্রহ সবচেয়ে উত্তপ্ত।
২.৪.৩. চাঁদের ছায়া পৃথিবীপৃষ্ঠে পড়লে সেই গ্রহণকে কী বলে
Ans. চাঁদের ছায়া পৃথিবীপৃষ্ঠে পড়লে সেই গ্রহণকে সূর্যগ্রহণ বলে।
২.৪.৪. কোন দ্রাঘিমারেখার সাপেক্ষে দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয় ?
Ans. মূলমধ্যরেখার সাপেক্ষে দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়।
৩. নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১. সূর্যঘড়ি কাকে বলে ?
Ans. সূর্যের আলো লম্বা বস্তুর ছায়া দিয়ে সময় মাপা হলে, তাকে সূর্যঘড়ি বলে।
৩.২. পৃথিবীর অক্ষ কাকে বলে ?
Ans. পৃথিবীর মাঝখান দিয়ে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছ। পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে চলে যাওয়া এই কাল্পনিক এই রেখাটিকে পৃথিবীর অক্ষ বলে।
৩.৩. পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মতো কেন বলা হয় ?
Ans. পৃথিবীর ওপর নীচ কিছুটা চাপা আর মাঝ বরাবর কিছুটা স্ফিত। তাই পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয়। কমলা লেবু বা নাশপাতির সঙ্গে পৃথিবীর আকৃতি কিছুটা মিল থাকলেও, পৃথিবীর সাথে তুলনা করা যায় এমন কোন নিখুঁত উদাহরণ কোথাও নেই। তাই বলা হয় পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো বা অভিগত গোলকের মতো। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় জিয়ড়।
৩.৪. দ্রাঘিমা কাকে বলে ?
Ans. পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত কিছু কাল্পনিক রেখা টানা হয়। এই কাল্পনিক অর্ধবৃত্তাকার রাখাগুলিকে দ্রাঘিমা বলা হয়।
৩.৫. অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা মধ্যে পার্থক্য লেখো ৷
Ans.
অক্ষাংশ | দ্রাঘিমা রেখা |
---|---|
অক্ষরেখাগুলো পরস্পর সমান্তরাল | দ্রাঘিমা রেখা গুলি পরস্পর সমান্তরাল নয় |
অক্ষরেখাগুলো পূর্ণবৃত্ত | দ্রাঘিমা রেখা গুলি অর্ধবৃত্ত |
গঅক্ষরেখা গুলির পূর্ব-পশ্চিম বিস্তৃত | দ্রাঘিমা রেখা গুলি উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত |
অক্ষরেখা নিরক্ষরেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ | মূলমধ্যরেখা দ্রাঘিমারেখাগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। |
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৪.১. কোনো দেশে প্রমাণ সময় ধারণাটির প্রয়োজন কেন হয় ?
Ans. দেশের ঠিক মাঝখানের অংশে যা স্থানীয় সময় আছে সেটাকেই সেই মুহূর্তে সারা দেশের স্থানীয় সময় বলে। মেনে নিতে হয় ডানদিক বা পূর্বদিকেরস্থানীয় সময় তার থেকে এগিয়ে থাকবে এবং পশ্চিম অথবা বাঁ দিকের স্থানীয় সময় পিছিয়ে থাকবে। কিন্তু ওইসব স্থানীয় সময় (যা ওই সব স্থানে চন্দ্র সূর্য ঘড়িতে ছায়া মেপে পাবো) উপেক্ষা করে আমরা দেশের মাঝখানের স্থানীয় সময়টাতেই সারাদেশের সময় বলে মেনে নেব। কাজকর্মের সুবিধার জন্য ধরে নেওয়া এই সময়টাকে বলে প্রমাণ সময়।
৪.২. পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীরই মতো - কথাটি ব্যাখ্যা করো ?
Ans. পৃথিবীর ওপর নীচ কিছুটা চাপা আর মাঝ বরাবর কিছুটা স্ফিত। তাই পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয়। কমলা লেবু বা নাশপাতির সঙ্গে পৃথিবীর আকৃতি কিছুটা মিল থাকলেও, পৃথিবীর সাথে তুলনা করা যায় এমন কোন নিখুঁত উদাহরণ কোথাও নেই। তাই বলা হয় পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় জিয়ড়।
৪.৩. ছায়াবৃত্ত কিভাবে সৃষ্টি হয় ?
Ans. সূর্যের আলো যখন পৃথিবীর একদিকে আলোকিত করে, তখন পৃথিবীর উল্টোদিকে অন্ধকার থাকে। আলো আর অন্ধকারের মাঝে একটা স্পষ্ট সীমারেখা দেখতে পাওয়া যায়। ওই সীমানা বরাবর একটি বৃত্তরেখা তৈরি হয়। এটাই হলো ছায়াবৃত্ত।
৪.৪. একটি চিত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ কিভাবে নির্ণয় করা যায় দেখাও ?
*Ans.
৪.৫. বায়ুর নিম্নচাপ ও উচ্চচাপের মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে লেখো ?
Ans.
উচ্চচাপ | নিম্নচাপ |
---|---|
পৃথিবীর শীতল অঞ্চলগুলোতে বায়ুর উচ্চচাপ দেখা যায়। | পৃথিবীর উষ্ণ অঞ্চল গুলিকে বায়ুর নিম্নচাপ দেখা যায়। |
উচ্চচাপের বায়ু শীতল হাওয়ায় বায়ু সংকুচিত হয়। | নিম্নচাপের বায়ু উষ্ণ হয় বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয়। |
বায়ুর নিমজ্জন এর কারণে ও বায়ুর উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। | বায়ুর ঊর্ধ্ব গমন এর কারণে ও বায়ুর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। |
শীতল ও ভারী বাতাসের জলীয় বাষ্প খুবই কম থাকে। এ কারণে উচ্চচাপ অঞ্চলে সাধারণত মেঘ-বৃষ্টি কিছুই হয় না। | উষ্ণ ও হাল্কা বায়ু উপরের স্তরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এলে বায়ুর জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বরফের সূক্ষ্ম কণায় পরিণত হয়। এ কারণে নিম্নচাপ অঞ্চলে মেঘ বৃষ্টি ঝড় অশান্ত আবহাওয়া দেখা যায়। |
৫. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কীভাবে কোনো একটি দিন শুরু হওয়ার সমস্যাটি সমাধান করেছে - তা ব্যাখ্যা করো ৷
Ans. 180° দ্রাঘিমা রেখাকে অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কল্পনা করা হলে, স্থল ভাগের মানুষদের মধ্যে দিন ও তারিখ নিয়ে খুব অসুবিধার সৃষ্টি হতো। এই অসুবিধা দূর করার জন্য, আন্তর্জাতিক তারিখরেখাকে স্থলভাগের উপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে। এখান থেকেই শুরু হয় নতুন তারিখ বা নতুন দিন।
0 মন্তব্যসমূহ